শব্দমিছিল
টিপু সুলতান
নিঃসঙ্গ হৃদয় বাঁচতে চায়
তুমি মননে বড় হও। সৃজন নীরবে শুরু কর
পৃথিবীর তরুণ সিন্দুকের সবকটি আঙিনায়
চেতনার স্ফুরণ সুবাতাসের গোপন খামে
দীর্ঘতর অক্লান্ত সমুদ্রের ছবি, অতল সুপারীবৃক্ষের চূড়োয়
রাতজাগা জ্যোৎস্নার সুস্মিতা প্রেমের ঝিঁঝিঁ জাগরণ;
বুকের খোলা মাঠে আমাদের গ্রাম পেরুনো ভরদুপুর-
হেঁটে যায় আকাশের অরণ্য কচ্ছপের মত,
বন্দরে নামে ব্যস্ত কোলাহল।
দুজন বৃদ্ধ ফিরে গেছে; অন্তিমে। নারী ও পুরুষ
দূর থেকে ছুঁয়ে যায় শূন্যতার সিঁড়ি, শীতের ঝরাপাতা
ধূলোয় ভেসে যায়, পথে দাঁড়ানো পৌষের কাচারিঘর
চোখের ভেতর কংক্রিটের শহর, নিঃসঙ্গ হৃদয় বাচঁতে চায়!
সিঁদুররাঙা বিপ্লব
প্রতিদিন জনতার উল্লাস
এই সে বর্ণমালার মিছিল-
মুক্তির মন্ত্র
বিজয়ের ফটকে
উদ্বেলিত পতাকায়-
ভোরের সোনালি আকাশ
বিশ্ব চেতনায় দুর্মর বাংলাদেশ।
এই সে অপেক্ষা-
রক্তাক্ত নায়ারীর চিহ্ন, স্বাধীনতার সড়কে
এই সে উদ্বেগ শ্রদ্ধা জানানো
থরেথরে সিঁদুররাঙা বিপ্লব মিশ্রিত সবুজ ঘাস-
আমাদের বাংলাদেশ!
একটা সুন্দরের জন্য
একটা সুন্দরের জন্য তোমাকে আঙ্গুলের ছাপে কেনা-
দীর্ঘদিন বুকের দিগন্তে পোষ মানিয়ে
জং ধরা বহু বৃত্তপথ একত্রে করে দালানের চিলেকোঠায়
গা ঘেষে দাঁড়ানো শজনেপাতার গ্রাম,
নির্জন আঁধারে জ্যোৎস্নার স্কুল পাঠ, নিঃশব্দ্যের গহীনে রাত জাগে
পথহীন ভ্রমণে হেঁটে চলা নীল ঘড়ি, নির্ঘুম চোখের ভেতর; একাকী।
আরেকটু অপেক্ষা কেঁচিতে নেশার ঝোঁক কাটতে-কাটতে
দু’হাতে কুয়াশার ছায়াগাছ সরায়-প্রতিদিনের মত চোখ
এপাশ ওপাশ ঝুঁকে যায় অবিলুপ্তি কামনা করে
যতদূর নিস্তব্ধতা কুয়াশার ঘোর ছায়া-
অথচ সে নিজেকে লুকিয়ে রাখে হৃদয় যন্ত্রণার আলোড়ন!