কচুরিপানা
শাহীন মাহমুদ
পোয়াতি রাত বোবা দোচালা টিনের ঘর কাঁপে
শেকড়ের সমাধি ।
কচুরিপানা দুর্ধর্ষ লুফে নেয় ধানের ডগা
ঝড়আকাশ নয় শিকড়ে ।
প্রভু সামন্তবাদ
বিদ্রুপে জন্মান্ধ বিটপী ।
ফের এসো অমাবস্যা রাতে
ঈশ্বর ক্লান্ত হও;কচুরিপানা ফিরে যাও
শেকড় আজ রক্ত তালুতে বন্দী ।
পাঁচ বসন্ত পেরিয়ে
সুমন আহমেদ
ঝরাপাতার মর মর শব্দের দিনশেষে- নতুনত্বের পথ ধরে হেঁটে
চলে চঞ্চলা বালিকা... পড়ন্ত বিকেলে গোধূলি লগ্নে
রংধনুর সাঁতরঙে রাঙা- বসন্তের যুবতী আকাশের ঠোঁটে মৃদু হাসি।
পাঁচ বসন্ত পেরিয়ে দীর্ঘ প্রত্যাশা- তোমার অঙ্গে জড়ানো
লাল শাড়ির মুগ্ধতায় বসন্ত রঙে রঙিন হবে আমার মনকুটির।
অমাবস্যার ঘনান্ধকারে ডুবে যাওয়া চাঁদ- আবারও তার
রূপালী আলোয় আলোকিত করবে মনের উঠোন।
সুখের উচ্ছ্বাসে- বৈতরণীর কূলভাঙে ঢেউ যুগল,
দুঃখের তারকাটার ব্যারিকেড ভাঙে- সুখের উন্মাদনায়।
বসন্তিকা, তুমিহীন শূন্যতা বুকে নিয়ে কতটা প্রহর গত হয়েছে
তার হিসেব রেখেছো কী কোনোদিন?
বাংলাদেশ
স্বপন শর্মা
এদেশ আমার অনেক কল্পনায়
স্বর্গভূমি, যেন অনেক কথায়,
কন্ঠ দিয়ে গল্প বলা।
ভুল হবে না তা জানি...
এখানে আকাশ জমিন ছোঁয়,
নজর রাখি যত শ্যামল শোভায়,
পাখ-পাখালি ঘুরর্ছে অবিরত।
বলতে গেলে অনেক বলতে হয়
হটাৎ কালো মেঘ, উড়ন্ত বলাকা,
ছুটছে ঝড়ের গতিবেগ।
তবু শেষ হয় না বলা
‘বৌ কথা কও’ পাখি জাগিয়ে দিল
ভোরের আকাশ মূহ মূহ ডাকি।
কল্পনায় ভেসে এলো এদেশ আমার
যেন নিপূন শিল্পীর হস্ত নির্মিত
স্বর্ন-হার স্বরূপ এক মূর্ত ছবি।