আরও এক বিপন্ন বিস্ময় !

    অলঙ্করণ : জাহাঙ্গীর হোসেন বাদশাহ
 


আরও এক বিপন্ন বিস্ময়

আরিফুল হাসান



:  তোমার এ নামটির জন্য তোমার আপত্তি লাগে না?

:  না, লাগবে কেনো? এটি আমি ভালোবেসে গ্রহণ করেছি। 

:  আমি তোমাকে আগের নামে ডাকি?

:  না, কখনো না।

:  তাহলে বৃষ্টি ও বাতাস, ভেজা লাবণ্য, আর তোমার ঠোঁট সত্য নয়, সত্য নয় এই চেয়ার টেবিল,  সত্য নয় এ বিহালা রেস্টুরেন্ট?

:  আমি যে গ¬াসে চুমুক দিচ্ছি, এই সুমিষ্ট হুইস্কি আর আর মুখোমুখি তোমার চোখ হয়ে সত্য । সত্য এও যে আমরা দুজন জীবনকামী। সুতরাং তা বলে এই নয় যে মৃত্যু আসবে না।

:  শুনো, তোমার ওসবে মৃত্যু মৃত্যু খেলা আমার ভালো লাগে না।

:  তাহলে কী চাও?

:  আসো, উপরে আসো।

উপরে? এই বিহালা রেস্টুরেন্টের উপরে চার তলায়? মানে তুমি আমাকে চন্দন আবাসিকে নিতে চাচ্ছো?

:  না, মানে...

:  কী মানে মানে করছো? গ¬াসে চুমুক দাও জীবন। আমি তোমার পাশে আছি।

:  পাশে আছো বলেই তো কাছে পেতে চাই।

:  কাছে পেলে কী করবে?

:  জরিয়ে ধরবো, ব্যাস!

:  শুধু জরিয়ে ধরবে, আর কিছু করবে না?

:  তোমার অমতে?

:  না, ঠিক থাকবে না তোমার কথা জীবন। তুমি আমাকে পেতে চাইবে। সম্পূর্ণ রূপে নিঃস্ব করে পেতে চাইবে। আমিও হয়তো চাইবো। তখন তোমার ইচ্ছেরও বালাই থাকবে না; আমিও হয়তো উদাসীন হবো। তখন মেঘ জমে থাকবে বৃষ্টিতে। তোমার আমার শরৎকালেও দেখা হবে না।

:  না হলে নাই। তুমি আসো।

:  তুমি কি আমার উপর জোর করছো?

:  জোর আমি কোনদিনই বা করলাম?

:  এইযে, এখন করছো। রেস্টুরেন্টে। এরকম করলে সামনে কিন্তু আর পানের সঙ্গী হিসেবেও পাবে না। কিন্তু আমি হারাতে চাই না তোমাকে।

:  আমিও চাই না, মৃত্যু। তোমাকে আমি ভালোবাসি। নাম তোমার ছদ্মনাম মৃত্যু হলেও আসলে তুমি আমার জীবন।

:  জীবন কী রকম? কতো প্রকার? আর উত্তরগুলো সহজ?

:  তোমার কাছে হয়তো সহজ। তুমি আপোস করো না। নাহলে এমন এক রোখা হতে না।

:  জী...বন! তোমার কাছে ঠিক একই কথা। ওই দেখো, বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। 

:  থেমে যাবে, শরতের মেঘ। কিন্তু তোমার মনটা টানা খরা, অথবা বর্ষার মতো একই প্রবাহে। 

:  কী করবে, কী করবে তুমি আমাকে পেলে? ল্যাংটা হবা? নিজে :  লেংটা হয়ে আমাকে লেংটা বানাব। তারপর!

:  তারপর, তারপর কী, বলো? তুমি শুনছো আমি ইতিমধ্যে চাপর মেরেছি টেবিলে আর দুটো গ¬াসই কেঁপে উঠেছে।

:  হ্যা, ভেঙেও যেতে পারতো। এ তুমি পারতে, কারণ তোমার মধ্যে এখন উন্মাদনা বাস করে। হা হা হাহ.এ হাসি তোমার মাঝে কাম ছড়ায়, আবার উন্মাদনাও ছড়ায়। 

:  হ্যা, ভাঙতে পারতাম। কিন্তু তোমার ও হাসি, আমাকে পাগল করেছে নিশ্চয়ই। আবার শান্তও হয়েছি। ভালো। একটা সিগ্রেট দেবো তোমাকে।

:  লাগলে... নেবো আমি। আচ্ছা জীবন, এই যে আমি তোমার দিকে এতক্ষণ ধরে তাকিয়ে আছি, চেয়ে আছি নিস্পলক, এতে কী অর্থ পাও।

:  তোমাকে পাই। 

:  মিথ্যা জীবন, তুমি মিথ্যে বলছো।

:  আমি মিথ্যে বলছি না।

:  বাইরে তাকিয়ে কেনো? তুমি আমার দিকে তাকাও। 

:  এই, তাকালাম।

:  তোমার চোখের পাতা কাঁপছে কেনো?

:  কই, নাতো?

:  তোমার চোয়াল কি শক্ত হয়ে এসেছে

:  না..আ।

:  তুমি পরাজিত হয়েছ। তোমাকে আরেক পেগ দেই?

:  দাও।

:  তুমি তো আবার র খাও; এই দেখো স্বর্ণালি জল, কলকল ঝর্ণামুখর!

:  তা তুমি দেখো। এখন এমন তীর্যক চোখে চেও না। 

:  তোমার রাগ এখনো পড়েনি, জীবন। আচ্ছা, আমাকে নেবে কয় মিনিটের জন্য?

:  মানে উপরে যদি আমাকে নিতে চাও, সেখানে কতক্ষণ তোমার সাথে থাকতে হবে?

:  এই...পাঁচমিনিট।

:  না, পাঁচমিনিট না। আমি একমিনিটও থাকতে পারবো না তবু তোমার যেহেতু আব্দার, আমি না হয় মিনিট পাঁচেক থাকলাম তোমার সাথে। তো এই পাঁচমিনিটের জন্য তুমি পঁচিশ হাজার টাকা খরচ করবে? তুমি জানো, চন্দন আবাসিকের একটি বুকিংয়ের দাম কতো আর দেশে কতো মানুষ না খেয়ে আছে, দেখছো?

:  কিসের মধ্যে কি নিয়ে আসলে হঠাৎ? তারচে বরং বৃষ্টিগুলো ভাগ করে খাই, চলো উপরে উঠি।

:  যেতেই হবে? 

:  চলো না।

:  এই, তুমি হাত ধরছো যে!... দেখো, এখানেই তুমি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছো। যাক, এবার একটু অন্য প্রসঙ্গে আসা যাক। আচ্ছা, তোমার ব্যবসাপাতি কেমন যাচ্ছে? 

:  এই যাচ্ছে! 

:  কেনো, তোমার তো এখন রমরমা ব্যবসা হওয়ার কথা। পৃথিবীর অনেক দেশেই যুদ্ধ নগ্নতার সভ্যতা রূপে প্রকাশ পেয়েছে বেশি। তোমার তো অস্ত্রের ব্যবসা আরও জমে উঠার কথা।

:  সে জন্যই জমছে না তেমন। এদিকটায় এখন সরবরাহ কম। তাছাড়া ভারত সংগ্রহ করছে বেশি।

:  এ রকম কম পাওয়া জনমানুষের জন্য হীতকর।

:  হাসালে,  মৃত্যু। আসলে আমরাও জনহিতকর কাজটিই করি। মূলত করার শক্তি ও প্রেরণা যোগাই।

:  শক্তি দিয়ে জয় করা যায় না, তুমি জানো।

:  তাহলে কী দিয়ে যায়? তোমার কবিতা দিয়ে? 

:  কবিতা তো তুমিও লেখো।

:  হ্যা, লিখি তো।

:  এবং খুব বিখ্যাত কবি। সে তুলনায় আমাকে কেউ চেনে না।

:  তা ঠিক। অথচ তুমি আমার চেয়ে কতো ভালো লেখো!

:  তোমাকে আরেক পেগ মদ দেবো জীবন? আমিও নিচ্ছি, দু টুকরা বরফও নিচ্ছি সাথে। 

:  মদ আর না খেলেই কি নয়?

:  তাহলে কি উঠবে?

:  তোমাকে ছেড়ে? আশ্চর্য! অনন্ত কাল বসে থাকবো।

:  হে অনন্ত অনাদি, তুমি সাক্ষী থাকো।

:  এই মাতোয়ালা রাতে তুমি আবার প্রার্থনা শুরু করলে কেনো?

:  তুমিই তো আমার প্রার্থনা। 

:  আচ্ছা, পুষ্পে ও সবুজ কুঞ্জে তোমাকে যে ভালোবেসেছিলাম, মনে আছে?

:  আছে, তবে পুষ্পে নয়, শিরিষেও নয়, আকাশের রংধনু আর মেঘের ক্যানভাসে।

:  তাহলে অন্তত অমন বৃষ্টিভেজারাতে, চলো।

:  বাইরে?

:  উপরে।

:  আহা, বাইরে চলো। বৃষ্টিতে ভিজবো।

:  আমি তোমার ঝড় হবো।

:  হা, হা, হাহ্...তুমি আবারও ঠকলে জীবন!

:  দাও, মৃত্যু, আমাকে আরেক পেয়ালা মদ দাও।

:  মদই বেঁচে থাকা।

:  হ্যা, মদে মজি। কবিতা বলি একটা?

:  না, থাক। তারচে বরং তোমার বাসার ঠিকানাটা বলো।

:  কেনো? জুলির সাথে গিয়ে দেখা করবে নাকি? 

:  দেখা করলে কি কোনো ভয় আছে? জুলি আমার বান্ধবী না? ওর সাথে একবছর পড়েছি। তোমার সাথেও পড়েছি। তোমাদের বিয়ে হলো। এ আমি মেনে নিয়েছি। ভাগ্য! কিন্তু কী করার আছে, তোমাকে ভুলতে পারছি না।

:  ভুলতে আমি তোমাকেও পারছি না। কিন্তু কী করবো বলো? বিয়ে করে সংসারি হলাম। অস্ত্র ব্যবসাটাতেও মার খাব খাব করছে। এ অবস্থায় পুঁজি উঠিয়ে নিলে একেবারেই ধরা। এখন সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে ওসব ব্যবসাপাতি ছুড়ে ফেলতে পণ হয়। পণ ভাঙি; আবার নাগরিক জীবনে ফিরে যাই। অস্ত্রের একটা বড় চালান আসছে রাশিয়া থেকে।

:  আসলে অস্ত্রব্যবসাটা, সরি টু সে, আমি আমি তোমার ব্যবসার উপর তিলেক জ্ঞানও রাখি না, তবু বলছি, এ ব্যবসাটা আসলে একটা তীর্যক ব্যবসা। দেখো কেমন শত্রুকেও বন্ধ করে আর নিজেদের নোয়াজ-নওয়াজিদেরকে দেয় জব'র কারবার। এসব ভাবতে ভাবতে আমি যখন মানসিক হ্যারাসমেন্ট-এ ভুগি, তখন তুমি হয়তো নতুন কোনো চুক্তিপত্রে সাইন করছো, ফিল করছো বারুদের গন্ধ।

: হা, হা হাহ্। বিষয়টিকে এভাবে দেখো না। একটু সহজ করে দেখো। আমিও বান্ধব। তোমার অবাধ্য হইনি। আজও হবো না। আসো, উপরে আসো।

: আচ্ছা, যেতে পারি এক শর্তে। রুম থেকে ফিরে তুমি আবার আমার সাথে বসবে। এই বিহালা রেস্টুরেন্টে আমরা আরও একঘন্টা বসবো।

:  আচ্ছা, অবশ্যই।

:  তাহলে চলো। এই সিঁড়ি উঠবো। লিফটে এসব বৃষ্টির দৃশ্য দেখতে পাবো না। তখন হয়তো রোমাঞ্চটা থাকবে না আমাদের। থাকবে হয়তো কাম। আচ্ছা, চলো।

:  চলো। দেখেছো, মৃত্যু, এখানে কতো মানুষের দুঃখ?

:  ফাউ কথা, কারো কোনো দুঃখ নেই। সবই ভরং।

:  তুমি কীভাবে বুঝলে?

:  নেমে এসে বলবো। আচ্ছা, বিহালা রেস্টুরেন্ট তো চারতলায় না?

: হ্যা।

:  পাঁচ তলায় হলে ভালো হতো। আরো কিছুক্ষণ বৃষ্টি দেখতে পেতাম।

:  হ্যা, এই তো, দেখতে দেখতেই চলে এলাম। চার হাজার এক নম্বর, প্রিমিয়াম রুম।

:  বাব্বাহ, খুব রাজকীয়!

:  তোমার পছন্দ হয়েছে?

:  খুব পছন্দ হয়েছে।

:  তোমার পছন্দের জন্য আমি সবকিছু করতে পারি।

:  আর কী করতে পারো? আচ্ছা, তোমার কিন্তু পাঁচমিনিট সময় অতিক্রম হয়ে যাচ্ছে।

: হ্যহ হ্যহ হ্য, তুমি কি স্টপওয়াচ চালু করে রেখেছো নাকি?

:  হুম।

:  একটু বসবে না?

:  হুম, বসবো তো অবশ্যই।

:  এসো, প্রিয়তমা।

:  সেকি! আবার হাত ধরেছো। আচ্ছা, ধরো।

:  জরিয়ে ধরার কথা ছিলো।

:  ধরছো না কেনো?

:  সত্যি?

:  তুমি কি আমাকে মৃত ভাবো? আমারও কাম আছে।


২.

:  কেরুর অর্ডার করবো? তুমি তো আবার এ ছাড়া অন্য ব্র্যান্ড নিতে চাও না। 

:  না, একটু চুপচাপ বসো। ...আচ্ছা, জীবন! এই যে আমরা এতক্ষণ চন্দনের প্রিমিয়ামে ছিলাম, তুমি যা যা চেয়েছো সব দিয়েছি। হয়তো নিয়েছিও। আচ্ছা, তুমি কি মনে করো এখন আমরা একঘন্টা এক সাথে বসে থাকতে পারবো?

:  কেনো নয়, অবশ্যই পারবো।

:  না জীবন, পারবে না। পারবো না আমিও। দেখো।

:  নাও, সিগারেট খাও।

:  কী সিগারেট?

:  ট্রেজারার।

:  আমি ট্রেজারার খাই না।

:  সেকি, এতক্ষণ না খেলে। উপরে উঠার আগে তো চারপ্যাকেট ট্রেজারারই পুড়লাম।

:  হ্যা, খেয়েছি। তখন তো তুমি মদ নিয়েও প্রশ্ন তোলোনি।

:  কী রকম?

:  ওই যে বললে, ‘তুমি তো আবার এছাড়া অন্য কিছু নিতে চাও না।’ তার মানে তুমি অন্য কিছু খেতে। হয়তো অনেক দামি, তোমার ওই ট্রেজারার সিগারেটের মতো। কিন্তু বিশ্বাস করো জীবন, আমি এই কেরুর হুইস্কি আর গোল্ডলিফ সিগারেট ছাড়া অন্য কিছুতে মজা পাই না।

:  গোল্ডলিফ সিগারেট আনিয়ে দেবো?

:  না, দরকার নেই। মজা করলাম, দাও একটা ট্রেজারারই দাও।

:  কেরু আনাবো:

:  না, আজকে বরং তোমার ব্র্যান্ডটা খাই। তুমি কী খেতে পছন্দ করো?

:  ইয়ামাজাকি।

:  জাপানি ব্র্যান্ড?

:  হুঁ।

:  আচ্ছা, জীবন! আমাকে তোমার কী মনে হয়? নিছক বেশ্যা?

:  কেনো? হঠাৎ এ প্রশ্ন কেনো?

:  না, এমনিতেই জানতে চাইলাম। ...হা...আ। আমার ঘুম পাচ্ছে কেমন।

:  ইয়ামাজাকিটা ভালো জিনিস। মুহুর্তেই চাঙ্গা হয়ে যাবে।

:  না, বেশি ভালো লাগেনি। মিষ্টি লাগে। মদ যদি মিষ্টিই লাগবে তাহলে আর মদ খেয়ে লাভ কী? একটু জ্বলতে হবে, একটু পুড়তে হবে।

:  মৃত্যু, তুমি না, আসলে জীবনটাকে এভাবে চিন্তা করো। জীবন কিন্তু অন্যরকমও হতে পারতো।

:  হুঁ, পারতো তো। কিন্তু তুমি বলো, তুমি থাকলে আজ আর আমার এই পরিণতি হতো?...তুমি বিয়ে করলে, আমারই বান্ধবিকে! হ্যা, বিয়ে অবশ্য আমিও করেছিলাম। টেকেনি।

:  সে কথা মনে করে ঘা দিও না। 

:  ঘা দিচ্ছি না। তোমার কি মনে হয় না আমি তোমার জন্য সংসার করতে পারিনি? সারাক্ষণ শুধু তোমার কথা ভেবেছি, স্বামীকে সময় দিতে পারিনি মন থেকে। তারপর ডিভোর্স হয়ে গেছে। এখন আমি এলিটদের সখের সামগ্রি। নাম পাল্টে মিতা থেকে হয়েছি মৃত্যু;Ñবড় লোকেরা ডাকে মৃ। অবশ্য তুমি আমাকে মৃত্যুই ডাকছো।

:  আমি কিন্তু তোমাকে সেভাবে ভাবি না।

:  তাহলে কীভাবে ভাবো? তুমিও তো আমাকে উপরে নিলে।

:  সেটি আমি ভালোবাসা থেকে নিয়েছি।

:  না, তুমি ভালোবাসা থেকে নাওনি জীবন। আমাকে ছাড়াও তুমি অনেক বিলাসীনীকে নিয়ে গিয়েছো। আমিও গিয়েছি অনেক এলিটদের সাথে। কিন্তু অন্য দিনের যাওয়া এবং আজকের যাওয়ার মধ্যে তফাৎ আছে।

:  তফাত তো আমার পক্ষ থেকেও থাকতে পারে। বুঝতে কেনো পারছো না?

:  এই তো , দূরত্ব শুরু হচ্ছে। জীবন, এখন আমি তোমাকে বুঝতে পারছি না, একটু পরে তুমি আমাকে বুঝতে পারবে না। আসলে আমরা বুঝতে চাচ্ছি না আর পরস্পরকে। আমাদের যেটুকু বুঝার তা হয়ে গেছে। তাই আমাদের ক্লান্তি লাগে। জীবনানন্দের ভাষায়, ক্লান্ত, ক্লান্ত করে...।...জীবন, তফাৎ হয়তো তোমার নেয়ার মধ্যেও ছিলো। হয়তো প্রেমই ছিলো সেটি। কিন্তু তবু তো তুমি আমাকে ঘরে নিতে চাইলে না, চাইলে চন্দন আবাসিকের প্রিমিয়ামে।

:  চলো উঠি।

:  সেকি! পাঁচ মিনিটও তো হলো না?

:  না মৃত্যু, পঁচিশ মিনিট হয়ে গেছে।

:  কিন্তু আরও পয়তাল্লিশ মিনিট তো বাকি আছে?

:  ঠিকাছে, বসো।

:  না, তারচে বরং চলো যাই। আমারও ক্লান্ত লাগছে খুব। ঘুমোবো।



শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট