রোধহীন আদিম ভক্ষক
জোবায়ের মিলন
এ মৃত্যু মানতে পারি না
পারিনা বলেই আমার বমি হয়...
ক্ষমা চাই জন্মের;
আমার মতো আদম- হয়ে ওঠে সিংহ,
বাঘ, কুকুর, নেকড়ের মতো বোধহীন আদিম ভক্ষক!
মাংসের গন্ধে ভুলে যাই জঠরের প্রথম পাঠ
আর কামড়ে ধরি চিহ্নিত অঙ্গ।
ও আমার প্রভু, আমরা ঢুকে পড়ি ক্রমাগত...
নিজেরাই নিজেদের মৃত্তিকার সাথে হল্লা করি-
চোখে কাপড় বেঁধে, আত্মাকে ভাগাড়ে রেখে।
-আর প্রতিটি নক্ষত্র বয়ে বেড়ায়
শবদেহের কবর যন্ত্রণা!
অথবা হয়ে যায় এক একটি করুণ মৃত্যু।
এ মৃত্যু মানতে পারিনা;
পারিনা বলেই আমার বমি হয় অনবরত...
ভাঙনের ঝড়
আকিব শিকদার
আসমানের নীলে কিছু মেঘ ঘোরে একা
কিছু বৃষ্টি ঝরে অশ্রু হয়ে অঙ্গনে
জানালা খুলে দেখি আলোটা বিবর্ণ
বাতাস খেলা করে কাননের ফুলে নিজমনে।
সবুজ পাতারা গুচ্ছবদ্ধ তবু নীরব অসহায়
আঁধারটা মনে হয় অনন্ত অসীমের সীমানায়।
স্মৃতির রোমন্থনে রাত ফুরায় বিছানায় নির্ঘুম
কষ্টগুলো ফেরারি বাদুড়ের মতো নিশাচর
কিছু বাসনা রয়ে যায় অপূর্ণ আজীবন
নিঃস্বহায় দিনগুলো অসহ্য অবিনশ্বর।
আমার জীবনের আশির্বাদ
সুমন আহমেদ
আজ খুব বেশি মনে পড়ছে তোমাকে...
কতদিন, কতমাস, কতটা বছর পেরিয়ে গেলো- বাবা; তুমি নামের
বৃক্ষের ছায়াতলে অনন্ত সুখে প্রশান্তির নিদ্রায় মাথা রাখিনা।
চোখ দু’টো বিষণ জ্বালা ধরেছে- তুমিহীন মহাশূন্যতায়...
বাবা, তুমি বলেছিলে আমি একদিন আকাশ হব; সবার চেয়ে বড়,
জানিনা কতটুকু বড় হতে পেরেছি- তবে এতটুকু বলতে পারি
তোমার স্বপ্ন মিথ্যে হয়ে যাইনি; তোমার আদর্শ আমাকে প্রতিটি
মূহুর্ত তোমাকে অনুসরণ করতে শিখিয়েছে; তোমার আঙ্গুল ধরে
পথচলা আমাকে সঠিক পথে চলতে শিখিয়েছে।
জানো বাবা, আমার ভুলগুলো শুধরে দেওয়া; তোমার কড়া শাসন
আজ আমার জীবনের আশির্বাদ; তোমার প্রতিটি অধ্যায়-
মহাসমুদ্র কিংবা সীমাহীন আকাশের চেয়েও বিশাল।