শব্দমালা
জুবায়ের দুখু
না হয় এসো এ বর্ষায়
এই ঝড়ো ঝড়ো বর্ষা দিনে
বলো থাকি ক্যামনে তুমি বিনে।
তুমি এসো হে প্রেয়সী
উথলা নয়নে
কাতর ভেঁজা অঙ্গ সঙ্গে নিয়ে। ঘোর যৌবন।
আমি পথ চেয়ে আছি!
ধু ধু মাখা প্রান্তর যখন ছিলনা সবুজ।
বৃক্ষেরা পাতা ঝড়িয়ে কেঁদেছে অপার।
আমি ঠিক ততটা বর্ষা
চেয়ে আছি তোমার ফেরার পথ আলিঙ্গনে।
হে প্রেয়সী আমার
তুমি নাহয় এসো এ বর্ষায়
নতজানু সন্ধ্যায় ভেঁজা কাক হয়ে।
মেঘ কন্যা
এই তপ্ত দুপুর ভেসে যাচ্ছে
মেঘ কন্যার যৌনকর্মে।
ঈশ্বর নির্বাক দৃষ্টিদান করে
খেলা করেন প্রজন্মের সাথে। আর।
উপাসনালয়ে।
তুখোড় মৌসুম ফিরে আসে বারবার
আছড়ে পড়া বৃষ্টি শেষে।
ছলছল সূর্যি কোণ দেবতা।
তুমি বরং আজ বৃষ্টি ভেঁজা কাক হও
গত বর্ষার অসমাপ্ত জলে।
এ বর্ষার জলরাশি ঝুলে থাক চক্ষুকর্ণে।
একদিন
তোমার চোখেও জলের অভাব হবে।
তুমি এসো প্রেম নগরে
সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো প্রিয়া মোর
দেখো রাতের চাঁদ মুখিয়ে আছে পৃথিবীর দিকে।
এসো হারিয়ে যাবো মোরা আজ জোছনার শিবিরে।
তুমি পায়ে আলতা পড়ে এসো
রক্তে রাঙা লাল
কালো কালো কাজলে আঁখি দু’টো
পৌঁছে নিও মায়ার প্রারম্ভে।
যেন আমি তৃপ্তি পাই।
ঈশ্বরকে চিঠি দিলাম রাত্তির প্রহর বাড়িয়ে দিতে।
চেয়ে নিলাম পূর্ণিমা ঘোর আমাবস্যা। জোনাকি মিছিল।
পরিপক্ব এখন আমার প্রেম নগরী। শুধু তুমি এসো মায়াবতী সাজে।