বৃষ্টিস্নাত দিন
মোহাম্মদ ছানা উল্যাহ
সকাল ৯টা বাজার আগে স্কুলের ড্রেস পড়ে রওনা দিতাম, স্কুল ১০টা থেকে। বর্ষার দিনে স্কুলটা কে মনে হতো সীমাহীন দুরে। পথিমধ্যে সঞ্চয়ন মাঠ (বর্তমানে বায়তুন নুর জামে মসজিদ যেখানে অবস্থিত)। জামা টা খুলে, সেই জামা দিয়ে বই, খাতা, পেন্সিল, রাবার কে পেচিয়ে পলিথিনের ব্যাগে ভরে কোন গাছের নিচে রেখে নেমে যেতাম মাঠে। কখনো কখনো কোন বড় ভাই, কোন মুরব্বি শরীর খারাপ করবে বলে মেরে, জোর করে মাঠ থেকে তুলে দিত। কখনো কখনো এই খেলা চলত দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত।
বৃষ্টিস্নাত যেদিন স্কুল বন্ধ থাকতো সেদিন বহুরূপী মাঠ, সঞ্চয়ন মাঠ বা স্কুল মাঠে খেলা শুরু হতো সকাল বেলা। ১০/১১ বা ১২টায় আর তা শেষ হওয়ার কোন টাইম টেবিল ছিল না। কর্দমাক্ত হাঁটু পানিতে খেলতে খেলতে ক্লান্ত হয়ে দেওয়া হতো খাওয়ার বিরতি। এই বিরতিতে মাঠেই বন, বিস্কুট, কলা, পানি খেয়ে আবার খেলা শুরু। যা চলত সেই সন্ধ্যা পর্যন্ত। সারাদিন খেলার পরে বাসায় গেলে শুরু হতো বাবা/মায়ের বকা/বেতের খেলা।
সেই বৃষ্টির দিন গুলো খুব মনে পড়ে।
এখনো বৃষ্টি হয়, বৃষ্টিতে কাক ভেজা হয়ে অফিসে যাই। মাথায় দুফোঁটা পানি পড়লেই শরীর খারাপ করে। সর্দি, জ্বর, মাথা ব্যাথা ইত্যাদি।
পার্থক্য টা তরুণ, যুবক থেকে মাঝ বয়সী।