শব্দমালা
ইব্রাহীম রাসেল
কেবল ভালোবাসার জন্য
একবার হাত ধরে যদি ফের ছেড়ে দাও
এই অন্ধকার গলিতে তবে বলো কী করে হাঁটি!
স্পর্শের সুখটুকু শিখিয়ে যদি দেয়াল তুলে দাও
ভালোবাসার এই কাঙাল বলো কী করে বাঁচি!
নীলিমা! পাথরের বুকে সবুজ বাগান করে
ফের কেন পাথরেই ফিরিয়ে দাও!
এই অবুঝ অনুভূতিকে লাই দিয়ে দিয়ে স্ববুঝ করে
আজ কেন গলা টিপে শ্বাস রুদ্ধ করতে চাও!
চেয়ে দ্যাখো এখনও রয়েছি দাঁড়িয়ে একা নিঃস্ব
অন্ধকার সেই অচেনা গলিতে
তোমার তোলা দেয়ালের কার্ণিশে কাঙাল এক,
এই স্ববুঝ অনুভূতিরা আজ আমায় কুঁড়ে কুঁড়ে খায়।
কেবল ভালোবাসার জন্যই এই আকুতি
এর জন্যই তোমার কাছে হেরেছি বারবার।
তোমার হাতের জাদু
নীলিমা! তোমার কাননের ফুল জানে
তোমার হাতের জাদু, তোমার স্পর্শের গভীরতা;
ওফুলের দিকে তাকিয়েই বলে দিতে পারি
একবার তুমি ছুঁলে পরে কী হয়, কী উর্বরতা
ছড়িয়ে পড়ে শিরায় শিরায়, মুকুলে-মুকুলে।
যেখানেই তুমি রেখেছ হাত, ফুটেছে গোলাপ
ফুটেছে জুঁই, চামেলি, হাসনাহেনা, গন্ধরাজ;
মরতে বসা গাঁদা গাছেও তোমার স্পর্শের পরে
গাছময় ফুটেছে হলুদ গাঁদা, একটি দুটি ফুল ধরা
অপরাজিতা গাছও ভরে উঠেছে ফুলে ফুলে।
নীলিমা! একটিবার যদি ওহাতে আমায় ছুঁয়ে দিতে
পৃথিবীতে আমিও হতে পারতাম সুন্দর কোনো ফুল।
মহাজীবন
নীলিমা! কেবল একটি গোলাপের প্রত্যাশা ছিল,
তোমার কাছে হাত বাড়িয়ে চাইতেই
পৃথিবী অবাক করে দিয়ে এত্ত এত্ত ফুলে ফুলে
ভরিয়ে দিলে আমার দু’হাত, আমার আঙিনা
পা ফেলে আমার হাঁটার পথ, আমার বসত ভিটা
যে দিকেই যতদূর চোখ যায় যেন ফুলের অরণ্য।
এক আঁজল জল চাইতেই দিয়েছ এক মহাসমুদ্র
একমুঠো জোছনার বাসনায় দিয়েছ মধুপূর্ণিমা।
একটি মুহূর্ত চেয়েছি কেবল ভালোবাসার জন্য
অনন্ত জীবন তুমি নিরঙ্কুশ সপেছ আমায়।
এতোটুকু স্বস্তি নিয়ে বেঁচে থাকতে চেয়েছি বলে