শব্দমিছিল
সবর্না চট্টোপাধ্যায়
রজনীগন্ধা
১.
ঝাপসা হয়ে আছে কাচ
কি জানি কোন বিষণœ সাগর গভীর
বিনুনির খাঁজে লুকিয়ে রেখেছে সুখ।
আজ তার কাঁটা ধুলো
ধুনোর ক্লান্তি সারা ঘরে
ভাঙতে ভাঙতে পাথর
তৈরী হচ্ছে আরও শপথ
২.
তোমার লাস্যময়ী ধান। সবুজ কারুকাজ
শিশির হব বলে শুধু জেদ করেছি কত।
স্নান সেরে ওঠে আসি রাধা...
সেও কি বশ্যতা নয় কোন?
৩.
মেঘের আঁচড় ছিন্ন করতলে
বিষাক্ত যন্ত্রণায় ছিঁড়তে ছিঁড়তে
এখন হোক ঘুম...
ছোবল দিয়েছে যে প্রত্যাখান
টুকরো আয়নায় কাচ
বিঁধেছে আলতা পা আর
সেই কুয়াশার চোখ।
৪.
বিনুনি খুলে যায়...
জারুলের সাজ শুকনো পাতার মতো।
শান্ত বালু তটে তবু
এই বুঝি তুমি গাছ হয়ে আছো ঠিক...
ছায়া সন্ধ্যায় মাথা রেখেছি রজনীগন্ধা !
নিজেকে চিরে দাঁড়ালে
নিজেকে চিরে দাঁড়ালে
ছুটে আসে হাওয়া
দু একটা মুছে যাওয়া লাইন
ফিকে আলো
শিউলির ঘ্রাণে ভোর হয়ে আসে ধীরে ধীরে...
ঘাসফুল ছুঁয়ে আছে ফড়িং
আমি আবার পুরোনো নদীর ধারে
শুয়ে আছি সেই শেওলা শৈশবে।
শুধু রামধনুর ওপাশে আমার
ফেলে আসা বাবামা আর শুকনো চারাগাছ !
ভেবেছিলাম
ভেবেছিলাম পুঁতে দেব ঠান্ডামেঝের ভেতর..
অফিস থেকে ফিরেই ঝেড়ে ফেলব ক্লান্তি।
ৎপ্যাচপ্যাচে জামা জুতো ছুঁড়ে
নেতিয়ে পড়ব দারুণ ঝিমুনিতে
আর দেখা হবে না হয়ত কোনদিন!
তখনই, সমুদ্র মন্থনে অমৃত কলস।
এক কাপ চা হাতে...
কোলে তুলে নাও ব্যাথা!
অথচ কোথাও এতটুকু তোলপাড়
লেগে নেই
শুধু ওই চোখ দুটো ছাড়া