শব্দমালা
জুবায়ের দুখু
অসমাপ্ত বিষাদ চিহ্ন
মায়াবতী তোমার চোখে নেই মায়া
নেই বিন্দু পরিমাণ ভালোবাসা-
আজীবন তোমার অপেক্ষায় পড়ে রইলাম শম্ভুনাথ রোড হাসপাতাল।
তুমি জীবনানন্দ দাশের প্রেমিকা নও
তার কবিতার নও বনলতা সেন-
এখানে বুকের আগুনে পুড়ে ছাই-জলবাহী চোখ।
মায়াবতী একশো বছর পরও তুমি আমার
তোমার চোখে ভালোবাসার নামে যদিও থাকে অসমাপ্ত বিষাদ চিহ্ন।
অপ্রেমিক
মায়াবতীর চোখে আমি অপ্রেমিক
তার জন্য কোনো বিশাল আক্ষেপ নেই আমার।
হতাশার চাদর মুড়িয়ে
কেউ কেউ চলে যায় মৃত্যুর পথে।
আমি ওসবে বিশ্বাস্ত নই,
দেহ জুড়ে কমল প্রেম জ¦র
চারিদিকে ভেসে ওঠে অপ্রেমিকের কঙ্কাল।
আমকে দেখে যায় মৃত্যু
আমি চেয়ে থাকি মায়াবতীর চোখে।
মৃত্যু ও মায়াবতীর মাঝে আমি এখনো অপ্রেমিক।
লুকায়িত কয়েকটি প্রলাপ
মেঘের তাপে রোদ শুকিয়ে
বৃষ্টি নামে অঝোরে.
কেউ কেউ বৃষ্টির মতো-চোখ লুকিয়ে রাখে
আমাবস্যা রাতে।
স্বপ্ন গুলো দিয়ে দেয় দ্বিগুণ হয়ে ফিরে আসতে।
আমাদের চোখ গুলো বিষাদ মাখিয়ে
লেপটে থাকে দিগন্তে
অচেনা শঙ্খচিল-একটুকরো স্বপ্ন নিয়ে হাটে তোমার গভীরে-
আমার চোখে যমুনার জল ঝরে অৎ¯্র। তুমি বোঝো না!