একদম হাতে নাতে ধরা পড়েছে। তাও এমন মহামারীর দিনে!যখন পৃথিবীর সব মানুষ ইয়া নাফসি ইয়া নাফসি করছে।ঠিক তখন হেকিম মেম্বারের ঘরের মেঝে থেকে একে একে ত্রাণের আঠারো বস্তা চাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।বাতাসের গতিতে খবরটা ছড়িয়ে গেলো পুরো শান্তিরহাট গ্রামে।লোকজন দৌঁড়ে আসছে মেম্বারের বাড়ি দিকে।ইতোমধ্যে খবরের কাগজ ও টিভির লোকেরাও চলে এসেছে।কেউ কেউ পুরো ঘটনা মোবাইল লাইভে প্রচার করছে।
দু'জন কনস্টেবল হেকিম চোরাকে গরুর দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছে।কুরবানির গরুর মতো গ্রামবাসী তাকে আগাগোড়া দেখছে।মেম্বারের সকল কাজের সহকারী মজিদ হেকিমকে কানেমুখে বললো,'কইছিলাম হুজুর,এই গজবের ভিত্রে চুরি কইরেন না। হুনছেন আমার কতা?যান,এহন জেলে গিয়া পঁইচা মরেন।' মাথা নিচু করে লাটিমের মতো ঝিম ধরে আছে হেকিম।হঠাৎ সে মজিদের টুটি চেপে ধরে,'হারামির বাচ্চা মজিদ,তুই আমার লগে ইমুন নিমুকহারামি করতে পারলি?'
পলাশ,নরসিংদী।