ইজাজ আহমেদ মিলন। এ সময়ের দীপ্তমান এক তারুণ্যের নাম। তীব্র জীবনবোধ তার গতিধারাকে করেছে শৈল্পিক এবং আলোকিত। তার সৃষ্টি; তার মানবিক চিন্তায় রয়েছে সামাজিক সুস্থতার বিশেষ ভূমিকা । পেশায় সাংবাদিক। বর্তমানে সে দৈনিক সমকাল’র গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োজিত আছে। গত ০৩ ফেব্রুয়ারী ছিল এই সৃষ্টিশীল মানুষের জন্মদিন। ইজাজ আহমেদ মিলন; আপনি বেঁচে থাকুন বছর। সার্বিক সুস্থতায় ‘ধানশালিক’। সুস্থ থাকুন; সুন্দর থাকুন; আনন্দে বাঁচুন। তার জন্মদিনকে ঘিরে ‘ধানশালিক’র এই আয়োজন ।
প্রখর জীবনবোধের গল্পকার
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী
ইজাজ আহ্মেদ মিলন একজন তরুণ কবি। তাঁর কবিতা আধুনিক এবং তাতে সমাজ চিত্রের ছাপ আছে। বছর চার আগে তাঁর প্রথম কবিতার বই ‘ নষ্ট শরীর ভিজেনা রৌদ্রজলে’ (এই কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি সিটি ব্যাংক ও ইমপ্রেস টেলিফিল্ম( চ্যানেল আই০ প্রবর্তিত ‘সিটি আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার’ পেয়েছিলেন) এবং গেলো বছর প্রকাশিত দ্বিতীয় বই ‘ দেহারণ্যের ভাঁজে শূন্যতার বিলাপ’ আমার হাতে আসে। তখনই তাঁর লেখার শক্তিমত্তা ও পারদর্শীতার পরিচয় পাই। বয়সে খুবই তরুণ Ñ এই কবি যে একদিন আমাদের সাহিত্য অঙ্গনের প্রথম সারিতে এগিয়ে আসতে পারে তার আভাস তাঁর লেখাতেই রয়েছে।
ইজাজ আহমেদ মিলন প্রতিভাবান একজন সাংবাদিকও । ঢাকার বিভিন্ন মিডিয়ার সঙ্গে তিনি জড়িত। এই এবারের মেলায় তাঁর প্রথম গল্পের বই বেরিয়েছে। নাম ‘ ছাতিম গাছের মৃত ছায়া’। আমি তাঁর কয়েকটি গল্প পড়ার সুযোগ পেয়েছি। গল্পগুলো আগে দেশের এবং দেশের বাইরের বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। গল্পগুলোতে আধুনিক জীবনবোধ প্রখর। ভাষা ও প্রকাশ ভঙিতেও নতুনত্ব আছে। শুধু দেশের বর্তমান সামাজিক অবক্ষয় নয়, মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে আমাদের জাতীয় জাগরণের খন্ড খন্ড ছবিও আছে গল্পগুলোতে। কোন কোন গল্পে বড় উপন্যাসের পটভূমি আছে।এ প্রজন্মের শক্তিমান লেখক ইজাজ আহ্মেদ মিলন কবিতার মতো গল্প লেখাতেও মুনশীয়ানা দেখিয়েছে। তাঁর কবিতার বইয়ের মতো গল্পের বইও পাঠকদের সমাদর লাভ করবে -এটা আমার ধারণা।