শব্দমালা
ইস্রাফিল আকন্দ রুদ্র
বাংলা বিভাগের মেয়ে- খ
সব ব্যথা রেখে গুছিয়ে উঠে দিন
হেমন্তের সন্ধ্যা পেরিয়ে বাজে ভায়োলিন
রিক্ত তিক্ত চেঁচামেচিতে পেরোয় রাত
নমঃ নমঃ করে জেগে ওঠে নির্লজ্জ প্রভাত।
মিছিলে করে ছিঃ ছিঃ, আড়ালে কাকুতি-মিনতি;
নশ্বর জীবনের পদতলে পিষ্ট প্রেমনীতি
ভাতে ঘি ঢেলে পেট্রোল মাখে; এ কী নয়া রীতি।
মরমর হয়ে বাঁচে ভ্রমর; কাশে হলুদ গোলাপের পাপড়ি
মরণ এড়িয়ে বাংলা বিভাগের মেয়ে খুলে দ্বীন লিখনের ডায়েরি।
বাংলা বিভাগের মেয়ে- গ
মেরুদ-হীন দুপুরের অদ্ভুত রসিকতা-
নষ্ট পৃথিবীর হেদায়েত প্রাপ্তি দেখে।
রিখটার স্কেলের মাপে পৃথিবী চাপে থেকেও
জাল বুনছে; শিকারে বের হবে।
মিকি মাউস এসব দেখে ক্রমান্বিত বিরক্ত; তাই-
কুক্ষণ জেনেও কেটে ফেললো নিজের লেজ;
হা লং উপসাগরে ইঁদুর ঝাঁপ দিয়ে বিড়াল মারে।
মহীরুহ’র ছায়ায় বসে এসব দেখে বাংলা বিভাগের মেয়ে
মসনদে একশো এগারোটি মোমবাতি মানে।
আবছায়া
হিমশীতল, আমাকে হয়নি কভু তোমার ছোঁয়া
তবুও যেনো পাই তীব্রতর স্পর্শতার ধোঁয়া
অভিমানের কু-লী ভেদ করে আসে প্রেম
সেই প্রেমে তোমাকে আবছায়ায় ছুঁয়ে দিলেম।
অশ্রুময়ীর শব হয়ে থাকো বুক পকেটে
ঘুরে ফিরে তোমাকে ভাবি অকপটে
মগ্ন হয়ে বিষণœতার সপ্তদশ অধ্যায় পাঠ করছি
আজ বিকেলে গভীর প্রেমে তোমাকে ভেবেছি-
ভেবে কেঁদেছি না হেঁসেছি ?
পুনরুজ্জীবিত
জেগে ওঠি;
প্রাতঃভ্রমণ শেষে আবার মরে যাই
প্রাতরাশ উৎসর্গ করে অনাহারে-অর্ধাহারে
উদরাজী হয়ে ডুব দিই;
পুনরুজ্জীবিত হয়ে তোমায় দ্যাখি-
সাড়ে সতেরো আইটেম চুলায় বসিয়ে
আমার মাথায় টুপি পরিয়ে
যতœ করে দাও ঘুম পাড়িয়ে-
বাঁচি পালিয়ে।
বাঁচার পর পুনরায় মরি
বাঁচি, মরি এবং মরি, বাঁচি
তোমার বিষাদের অতল গহ্বরে হারিয়ে যাই।
নাই, আমি নাই-
য্যানো আমি তোমার বাড়া ভাতে ছাই!