শব্দমালা
বিশ্বজিৎ মণ্ডল
দায়বদ্ধতা
আমি প্রতিদিন একটি করে পাখি দত্তক নিই-
দু ডানায় সতর্ক রঙ মাখিয়ে উড়িয়ে দিই-
কুরুক্ষেত্রের আকাশে
এখন অক্ষৌহিনী, বীরযোদ্ধা কিংবা পদাতিকের
রণধ্বনি নেই
পড়ে আছে ধু ধু ফসলের মাঠ......
পাখি বগ একলা-
সঙ্গীহীন বাতাসে ভাসছে, হতাশার মেঘমন্দ্রন
চিড়িয়াখানার ডাকে জেগে ওঠে, বিগত শতাব্দীর
বেসুরো প্লে ব্যাক
পাখি ভালবেসে, সালিম আলি হতে পারে পারিনি
কম্পিত দু হাতে উড়ান দিতে গিয়ে
কতবার ভুলে গেছি, শেষ জটায়র বদ্ধ উচ্চারণ...
পরিণতি পর্ব
আমার নোনাধরা অ্যাকাউন্টে প্রতিদিন জমা হয়-
এইসব দুরাচার সমগ্র আর কিছু অন্ধ পাখি
শহরের অপরাধীরা ফ্লাই ওভারে সাজিয়ে রাখে
ঘুমিয়ে পড়া পুলিশের খাঁকি রং
দূষণ বাড়তে বাড়তে চাঁদের তলায় ঠেকেছে
ছাতারে পাখির বাসস্থান
মানতে পারি না- অনন্ত ঘুমের কথা...
অ্যাকাউন্টটা খালি করে প্রতিদিন উড়িয়ে দিয়েছি
সেই সব অন্ধ পাখি
ঈড়ে আছে রুগ্ন ডানার গন্ধ আর কিছু খেলনাপাতির
খুচরো গল্প
ঈপ্সিত মেঘ বৃষ্টি ঝরিয়ে একদিন শূন্য হয়ে যায়
আদৌ মানতে পারিনা, এইসব শূন্যতা...
গাছেরা নাকি নগ্ন হলে লজ্জা পায়, আদম ও ইভ
বাল্মীকির কলম
আমি সেই অর্বাচীন বাল্মীকি-
প্রতিবেশীদের কুশ বনে এঁকে গেছি- কা-ের
রামায়ণ চাষ
আজও তোকে সোনার হরিণ ভেবে এইসব মৃগ অন্বেষণ
পৃষ্ঠার উপর গজিয়ে উঠেছে, সত্য ভূমের আলো
অথচ দ্যাখো, তর্জনী ও মধ্যমা কেবল লিখে গেছে-
অনর্গল মিথ্যা
ডানা ওয়ালা গন্ধর্ব পুরুষের মতো খুঁজে চলি-
প্রচ্ছন্ন গান্ধর্বীর দেশ
মাঝপথে ভুলে যাওয়া তোমার ডাকনামে লিখে রাখি
আরও কিছু পূরণ- কাব্য
কেবল অযোধ্যার কথা ভেবে বার বার সাজাই-
সপ্ত কা-ের ভুল রামায়ণ