নীড়ে ফিরে আয়
রেহমান আনিস
ও পাখি কই যাস রে উড়ে এই বিকেলে
দেখ না ফিরে দু’চোখ ভরে জল নেমেছে।
মন তো ঘরে টিকছে না আর
আয় ফিরে আয় নীড়ে এবার।
নীল আকাশে যাসনে উয়ে মনের ভুলে
দীর্ঘ সে পথ শেষ হবেনা একজীবনে।
জমিন তোকে ডাকছে বুকে দু’হাত মেলে
ভিন দেশে কেউ কাঁদবেনা তুই আঘাত পেলে।
কাদের নিয়ে বন্দনা
পৃথ্বীশ চক্রবর্ত্তী
নবীন জগৎ হলো কেমন করে
কারা দিলো পৃথিবীরে নিত্য-নতুন
তথ্য এবং প্রযুক্তিতে গড়ে?
কিসের হাওয়া লাগছে দেশে দেশে
শব্দ, স্পর্শ, রূপ, রস, গন্ধে
বসুন্ধরা উঠল কেন হেসে?
মানুষ তো কাল চাঁদেই করবে বাস
কিসের ছোঁয়ায় চাঁদের পৃষ্ঠে
জন্ম নেবে তরুলতা-ঘাস?
মঙ্গলে আজ যাচ্ছে জনহীন যান
কিসের জন্যে কালকেই হয়তো
মঙ্গল গ্রহেই মানুষ গাবে গান?
জল-স্থল এবং অন্তরিক্ষময়
ঘোষণা আজ করছে কারা
একের পর এক মানব জাতির জয়?
কাদের নিয়ে বন্দনা, গান গেয়ে
দেখছে যেন মহাবিশ্ব
পৃথিবীকে অবাক চোখে চেয়ে?
আপন আলোয়
শফিকুল ইসলাম সোহাগ
শূন্যতার শেষ প্রান্তে খুঁজি
কেবলই জীবনের খতিয়ান
নিরব বেদনার ভাবনাগুলো রস যোগায় রিক্ত পথে
বিষাদের জগত সংসার সুখের অষ্ট প্রহরে-
গন্তব্যহীন আপন ঠিকানায় পথ বেয়ে চলি তবু।
ব্যথা ভরা খায়েশগুলো রং ছিটায় -
অদ্ভুত জীবনের পথে
অবলা ইচ্ছেগুলো জোড়াতালি দেই ছিড়া পাতায়
সত্ত্বার জলজ সরোবরে-গভীর অনুভবের পাহাড় ভাঙ্গি
নিতান্তই লোকালয়ে ফিরি আপন আলোয়।
প্রতিদন্ধিতার বালুচরে অপূর্ণতার মহাপ্রলয়ে
উৎসবের নিয়ম ভাঙ্গি কল্পনার বালুচরে
সৃষ্টিরা ফিরে তাকায় অদৃশ্যের অত্যাচার সহ্য করি
অচেনা মুখ চেনা হয়ে যাই, রচে পূর্ণতার খেলাঘর।
নিমন্ত্রণ
চৌধুরী রুহাশ
অনুভূতি যদি জলের মতও হতো-
তবে ঝর্ণাধারায় পরিণত করতাম,
তোমাকে নিয়ে যত অনুভব সব
মিশিয়ে দিতাম উন্মাতাল সুরে....
ভিজিয়ে দিতাম তোমায় ছুঁতে এলে,
সকল দুঃখ, কষ্টকে ধুয়ে দিতাম,
দিতাম শীতল পরশ প্রতিটি শিহরণে-
তোমাকে নিমন্ত্রণ -
তুমি এসো সময় করে...
অভিবাদন জানাবো পাখীদের গুঞ্জনে,
ছলাৎছলাৎ শব্দে
আর
বন ফুলের অদ্ভুত সুঘ্রাণে-
তোমাকে নিমন্ত্রণ-
তুমি এসো সময় হলে।
প্রেমিক হতে এসে
জুবায়ের দুখু
কেউ কেউ প্রেমিক হতে এসে
বিষাদের রঙ মেখে নেয় মনে।
নিদ্রাহত প্রহর কাটিয়ে দেয়
জোনাকির মতো উড়ে উড়ে।
ঝুলে থাকা আলো টুকো
ফেলে দেয় নেশার গ্লাসে।
হিম বাতাসে উড়ে যায় পাখি
ফিরে আসেনা আর খাঁচায়।
কিছু কিছু প্রশ্নের উত্তর
পড়ে থাকে বইয়ে-ওঠেনা খাতায়।
কেউ কেউ তেমনই, প্রেমিক হতে এসে।
অপ্রেমিক রয়ে যায়।