শব্দমিছিল
জুবায়ের আলম জাহাজী
অপেক্ষার আগুনে কেউ পোড়েনি
আর অপেক্ষা নয়
ল্যমপোস্ট কথা বলে; কী কারণে থেমে গ্যাছে সব?
সংশোধনবাদী বেঈমানের সোজা সাপ্টা লেবাসে
হারায় ফুরায় ফাউনটেনপেনের আত্মা,
মুদ্রার উভয়পিঠে দুঃসময়ের বোঝা নিয়ে
শেষ পর্যন্ত হলাম বিরোধিতার বীজ।
এখন শোকের সড়কে যানজট-
কীভাবে ফায়ার-এসকেপহীন জীবনের মাছগুলো
ওপাড়ের ঘুমপাড়ানি পেনড্রাইভে হারিয়ে যায়?
স্বপ্নপোকাগুলোর ঘোরাঘুরি রাতের অলি-গলিতে
যেখানে নিষিদ্ধ ছিটোফোঁটাগুলো দেয়ালে বাধা।
ফেরা কিংবা না ফেরার নির্লজ্জ্ব উত্তরে
বহুদিন পর নিস্তেজ হৃৎপিন্ড বুলি আওড়ায়
অপেক্ষার আগুনে কেউ পোড়েনি ।
নিষিদ্ধ পালক
তোমার আদিখ্যেতায় নিষিদ্ধ পালক ওড়ে নকল চিনির বাতাসে
চেনা পথের চিত্রপটে দাঁড়িয়ে ক্লান্ত পথ; বিচ্ছিন্ন দ্বিপের দূরত্বে তুমি
প্রতিদিন দু’হাত ভরে ফ্রিজ থেকে কিনছো দ্বিধাহীন স্বপ্ন
আর আমি রোদ্দুরে হেঁটে ছাই; ছায়া আর ছোটে না পিছু।
আকাশ-ডাকের ছলনার কারাগার খুব নিকটস্থ; সবাবধান!
তাকে ভালোবেসে প্রত্যাখ্যান করেছি সে বড্ড খেয়ালি,
পলে পলে হাহাকার করে অপেক্ষা; টাইমার করে ফাঁকিবাজি
তবুও নিষিদ্ধ পালকের কাছ থেকে পলাতক নও তুমি।
শুধু সেই রূপশ্রী নেই
আর বছরের দিকে মুখ ফিরিয়ে কালো পিচ
সকাল হলে কালো পাথর ছুটতে ভোলে না,
কিন্তু রূপশ্রী ভুলে গ্যাছে চেনা পথ;
দেখা মেলেনা তার
নগর শকুনের মুখে এখন আর জোটেনা এঁটো রুটি।
এখন এ শহরের সম্রাট আমি
সকালের সূর্য, সদ্য ফোটা অপরাজিতা, বকুল, আমের মুকুল
এমন কি-
বেলা বই ঘরের প্রতিটি শব্দ আমাকে সেলুট জানায়।
সবার দেখা মেলে
শুধু সেই রূপশ্রী নেই
দেখা মেলে না তার...