দু’টি কবিতা
মিসির হাছনাইন
আষাঢ়ের প্রথম বৃষ্টিতে
আষাঢ়ের বৃষ্টির ফোটা পড়ছে
কদমের গায়ে
তোমার জন্যে কুড়িয়েছি ফুল
বৃষ্টিভেজা পায়ে
আমার কদম ফুলের প্রিয়া
বাঁধিয়া রাখো তোমার চুলের খোপা
কালো মেঘের পাহাড়ে চড়ো তুমি
তোমার হাসিতে ফুটেছে কদম
আষাঢ়ের প্রথম বৃষ্টিতে
ভিজে গেছে তোমার কামিজ
তোমার গায়ের ঘ্রাণ কদমের ফুলে
আমার কদম ফুলের প্রিয়া
তোমার জন্যে কুড়িয়েছি ফুল
আষাঢ়ের প্রথম বৃষ্টিতে
তুমি চড়েছো মেঘের পাহাড়ে
হারিয়েছো কোন আকাশে
আষাঢ়ের প্রথম বৃষ্টিতে খুঁজি তোমায়
কদম ফুলে
কী গন্ধ ছড়িয়েছো তুমি বাতাসে বাতাসে
আমার কদম ফুলের প্রিয়া
তুমি আষাঢ়ের কদমফুল
বৃষ্টিভেজা পায়ে খুঁজছি তোমায়
বৃষ্টি পড়ছে... বৃষ্টির ফোটা পড়ছে
কদমের গায়ে
আষাঢ়ের প্রথম বৃষ্টিতে...
ধানশালিক ইউটিউব চ্যানেল । সাবস্ক্রাইব করে পাশে থাকুন : https://www.youtube.com/watch?v=7_bEP0d9Rm4
পূর্ণিমার চাঁদ কবিকে গিলে খায়
ফাল্গুনের পলাশ ফুলের টিয়াপাখি ঠোঁট
কামড়ে ধরলে প্রেমিকার ঠোঁট কেঁপে ওঠে।
পুকুরের স্বচ্ছ জলের রাঙা পদ্মের ছায়ায়
পদ্মাবতী সেজেছে আজকের চাঁদ বসন্তী মঠে।
পূর্ণিমার চাঁদে মরমি গানের সুর বাজে
পাগল’রা গাঁজা খেয়ে জ্যোৎস্নায় হাঁটে
তিতাস নদীতে জোয়ার আসে, নদী বংশে
বেড়ে ওঠে পুঁই মাচাং পাহাড়ী মুহুয়ার গন্ধ।
শেষ রাতে আমরা যারা মাতাল হই
পিনিক কাটাই পূর্ণিমার ঝাঁঝালো কণ্ঠে
কোকিলের চিৎকার শুনি নীল খামে
খোলা দরজায় উঁকি দেয় মৃত কবির দল।
দূর আকাশের নক্ষত্র সেজেছে যারা
তাদের নামে দূরুদ পড়ে নৌকা ভাসাই
পূর্ণিমার চাঁদ একজন কবিকে গিলছে
আমরা দূরুদ পড়ি লিখি পবিত্র কিতাব।
মৃত্যু নিয়ে খেলতে খেলতে পরাজিত কবি’রা
পানকৌড়ির রক্ত পান করে নারীর শরীরের
নেশায় মজেছে, ঐদিকে পাগলের দল নেশার ঘোরে
স্বর্গে যায় শকুনের ডানায় জিউসের প্রাসাদ।
মায়াবী পর্দা দুলে উঠলে
একজন কবি দুপুরের ঘুঘুপাখি
শরীরের আঁকাবাঁকা লতাপাতার
ফুলে ফুলে মধু চুষে খায় পরাজিত নারী।
ফাল্গুনের দেশে
একজন কবি দুপুরের ঘুঘুপাখি
পূর্ণিমার চাঁদ পলাশ ফুলের টিয়াঠোঁট
চুমু খায় হাজারো বাঙালী, ওদিকে
পূর্ণিমার চাঁদ কবিকে গিলে খায়।