অক্ষরমালা
টিপু সুলতান
গণ সমুদ্রচোখ আমাকে পাহারা দেয়
দাগহীন আত্মসমর্পণ, গোটা থানকুনি বাঁক তা দিচ্ছে।
ধূলোর গায়ে-বেদনায়, প্রয়াণে;
দলগুচ্ছ মানুষের কবিতা-
হাতের পাশে মাঠ,ছায়ার পরিভ্রমণ
ছেঁড়া ছেঁড়া গদাঘাত মেঘ
ধূসরপথে শতছিন্ন জময বর্ষার পরাগরেণু,
বিনয়ী রোদ-ঋতুবনে,ভূতভয়,
কবরস্থান উপেক্ষা সকল কবিতার জোড় পা স্কুলে যায়-
ঠা-া বাতাস, অখ- অবসর, জলপাই রঙের উদ্ভিদ উঠান
কিচিরমিচির ব্যস্ত- চিউমিউ শোরগোল
হাসির টুকরো লেপটানো কমলা লেবু রঙ ধানেধানে,
গণ সমুদ্রচোখ-অগণিত নাবিক পালে
আমাকেও পাহারা দেয়,এ গণভোট মুক্ত বিস্ময়ের!
ঘাসগুলো তাঁর উঠানে ফড়িং ছড়ায়
চারদিক পৃথিবী। এখানে দীর্ঘ ভ্রমণ শেষে
ধারাপাঠ পড়তে পড়তে বর্ণনার করি
বসন্ত ঠোঁটে অনিন্দ্য সুন্দরের গান-
মোটা বয়সে এই দূরাগত উচ্চাঙ্গসংগীত
আমার কানের নেতি ঝুলে
সমস্ত পাহাড়ের গোপনীয়তা শোনায়-
নীলগিরি দেবতার পায়চারি, দলবেঁধে ফেরা গুড়ো বাতাস
ব্লাডভর্তি ঘন উদ্ভিদ, প্রীতিধানের কণ্ঠস্বর, প্রকৃত পামূল;
ইথারনেটে ঝর্ণাধারা, অদূরে আকাশ
পাহাড় কাটা জ্যোৎস্না চূড়োয় গড়িয়ে যায়
নৈঃশব্দ্যের রোপণ করা শরীর-
চাকমা মেয়ের গোপন ভ্রমণ...
এই প্রণয় শিল্প, বাঙালীর সমতলে
অরণ্যবিথীর জরায়ু ঋতুর গহীনে
চাকমা গান শুনি, ঘাসগুলো তাঁর উঠানে ফড়িং ছড়ায়!
ধানশালিক ইউটিউব চ্যানেল । সাবস্ক্রাইব করে পাশে থাকুন : https://www.youtube.com/watch?v=7_bEP0d9Rm4
আমার চোখ জন্ম দেয়
রাজপাঠ যোনির ভেতর জোড়া সংসার, ফেঁপে ওঠে চর-
জলবীজ জড়ানো এক মাটিলগ্ন কুমারী
জৈব পৃথিবীর গোপন ডুব তুলে দেয়-
হসন্তময় পবিত্র দেহ হাত
সুউচ্চ রৌদ্রগাঢ় প্রেম-সোনালি ধান, বাবা বীজ বুনেছিল।
মাংসকুচি জন্মানো তাঁর পবিত্র তলপেট
আমার চোখ জন্ম দেয়, নাভিকাটা সন্তান!
আমরা হাঁটি শহিদ মিনারের দিকে
বিধ্বস্ত রক্ত ভেজা পলি, এভাবে গড়াগড়ি খায়-
হরিণির সাড়ে বারোহাত লাফ, থেমে যায়-
কেওড়া ছড়ানো বুনো গহিন সমান্তরাল
গোধূলি গান ছোট হয়ে আসে, মোটা শব্দাবলী, মুক্তবাঁক-
ফুল হতে বৃক্ষজয়, আমার চেনা পানাম নগর থেকে নাগরিক;
কাটাচমচ ঘেরা বিশুদ্ধ উচ্চারণ-নৃত্যপরা নাভির নিচে
কারাগৃহ-আমরা হাঁটি শহিদ মিনারের দিকে...
বিষণ্নতার মিউজিয়াম
খোলা জানালা গলে ব্যথার বিম্বিত ধ্বনি ছুটে আসছে।
কানের কাছে, গহিন ক্রোধনে জমা শব্দের তলপেট-
পায়ের কাছে মাটি, নিজের কোলে শোয়ানো কবর
নীল বর্ণ গেদরভেদর রোদ-আপেল রঙ পোড়ায়
পালিয়ে যাচ্ছে-নিবিড় সম্পর্ক, ঘাসের ওপর-আতঙ্ক অধ্যায়
নারী ও ভোরপাখি আটকানো বিষণœতার মিউজিয়াম;
দু হাতে ছাউনি বানানো, গোলপাতা ছায়া ছানার মতো-
মঙ্গলম প্রার্থনা। চোখে শঙ্কাহরা জল ঝাঁপিয়ে পড়ে
অজস্র বাণীগুলো ওড়ে, ভয়ার্ত ঘামে-মানুষ সংসার!