দূর কখনও কাছেও আসে
অঞ্জলি ভৌমিক
দরজা খুলতে না খুলতেই
চলে যাওয়া বসন্ত ফিরে আসে আবার।
কৃষ্ণচুড়ায় রং ছড়িয়ে ঝড়ে যাওয়া বর্তমান
হেঁটে হেঁটে আবারো জন্ম নেয়
আগামীকালের গর্ভে।
চৈত্রের ঝলসানো দুপুর বরাবরই অপেক্ষা করে করে ফিরে পায় বিকেল-
আর বিকেলের শরীর হেঁটে হেঁটে পৌঁছায় রাতের গভীরে!
যেখানে চাঁদের দুই পক্ষ সমান মহীয়ান।
চর জেগে যে নদী দূরে চলে যায়
পাড় ভেঙ্গে কখনও কখনও সে কাছেও আসে।
ঠিকানা বিহীন
খায়রুল আলম রাজু
শব্দের সন্ধি আর কলমের আঁচড়ে
বাক্যের মিলন- মহা মিলন;
শত বছরের সংসার, শত বছরের পরিচয়,
শত বছরের জানাশোনা- আমাদের,
সময়ের গতিতে দূরত্ব হতেই পারে
সময়ে অসময়ে হতে পারে; মান,অভিমান।
তবু দু’ দুটো নয়, একটাই আবদার,
হলুদ খামে চিঠি দিও; ঠিকানা বিহীন!
ধানশালিক ইউটিউব চ্যানেল । সাবস্ক্রাইব করে পাশে থাকুন : https://www.youtube.com/watch?v=7_bEP0d9Rm4
কবিতা
সোহেল রানা
কবিতা হলো ভোরের শিশিরকণা
সূর্যকউজ্জ্বল চিকচিক রৌদ্রের ছটা
কবিতা হলো দুপুরের তপ্তবালু-
পথিকের চিবুক গড়িয়ে উজ্জ্বল আভা
কবিতা হলো ক্লান্ত কৃষকের সঞ্চিত
এক বুক ভালবাসা-
সোনালি ফসলে মুক্তা ঝরা ঢেউয়ের দোলা
কবিতা হলো পড়ন্ত বিকেলের সুখের ছায়া
উচ্ছল বাতাসে নদীর বুকে ঢেউয়ের খেলা
কবিতা হলো নিশ্চল সন্ধ্যায়
ঝিঝি পোকার ডাকা
অন্ধকারে প্রদীপ জ্বালিয়ে পথের দিশা খোঁজা
কবিতা হলো রাতের আকাশে মিটিমিটি তারা-
আর চাঁদের লুকোচুরি খেলা-
জননীর ঘুম পাড়ানির গানে
সন্তানের শরীরে প্রশান্তির ছোঁয়া
কবিতা হলো কবির চোখে দেখা-
হৃদয়ে বাঁধে বাসা
ফোঁটা ফোঁটা পুষ্পিত রক্তের দানা!
পৃথিবীর বুকে তার নিত্যপদচারণা।
একটি নদীর সন্ধানে এসেছি
সৈয়দ শরীফ
ধূসর রঙে ছেয়ে গেছে সকালের চিত্র;
কেঁদেছে মেঘদুপুরÑ অনেককাল সূর্য
ওঠেনি জেনে, রংধনু বাতাস মেখে চলে
অন্যকোনো গ্রহে। এসব দেখতে দেখতে
কতকাল হেঁটেছি এই অভিমানী পথে;
সন্ধ্যা হয়েছে কেবলÑ একটি বস্তু, দৈহিক
ওজন: দশ আউন্স, তবু লুফে নিচ্ছে কত
যে বৈকালিক সমীরণ; নির্জন চারপাশÑ
এই নিখুঁত অন্ধকারেও দেখা যাচ্ছে না
ছোট ছোট জোনাকির বৌছি-খেল !
সকাল থেকে সকাল অবধি এত এত
অভিমান মেখে, এই সবুজ কারুকার্যভূমে
একটি নদীর সন্ধানে এসেছি; একটি
আকাশ মাখা নদীÑ একটি নদীর বড়
প্রয়োজন... আগামী বিকেলজুড়ে সেপথে
নৌ-ভ্রমণ হোক; প্রেমিক-প্রেমিকারা
ডিঙি নাউ নিয়ে আসুকÑ আহা, বাদাম
চিবানোর দৃশ্য দেখিনি কতকাল..