বৃক্ষ বিষয়ক
তানহিম আহমেদ
মূলত মানুষ বৃক্ষ হিসেবে নিজের
একক অসমকক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী-
সন্ধ্যের আকাশে- পাখির মতন।
এভাবে বারবার হেরে যেতে যেতে
সময়ের বুক জুড়ে লিখে রেখে
যায় তার অগ্রন্থিত কবিতা।
তারপর— মনোরম বাতাসে;
নীরবে ছড়িয়ে দিয়ে জীবনের রঙ
একাকী গোলাপের কাছে-
শেখে, তার নিজস্ব এক মাতৃভাষা।
ধানশালিক ইউটিউব চ্যানেল । সাবস্ক্রাইব করে পাশে থাকুন : https://www.youtube.com/watch?v=7_bEP0d9Rm4
চোখ বুলো
সামিমা বেগম
মনের মাধুরী মিশিয়ে
রঙধনু থেকে কিছু রঙ নিয়ে
অতি সযতেœ;
হাজার তারার শব্দ দিয়ে
সুবাসিত ফুলের গন্ধ মেখে
পাখ-পাখালির মধুর সুরে
একটি মালা হয়েছে গাঁথা ।
ঝরানো ফুলের পাঁপড়ির ন্যায়
রিম-ঝিম বৃষ্টির ধারা
সবুজরিমা
সমুদ্র সফেদ সেমিজটায়
পুঁই পুঁই করে লিখেছি ।
যদি চোখ বুলো ;
অপরূপ জ্যোস্নামাখা
গাঁথা মালাতে
টের পাবে না ঢুলি তবলা
ঝিনুকের বুকে মুক্তা।।
জীবননামা
রুদ্র সুশান্ত
সুঁতোর গহ্বরে বাঁধা আমাদের জীবন,
বৌ রোজ নিয়ম করে ফুল গাছে জল দেয়, শিমের চারাগুলো বেড়ে উঠছে লকলকে, শ্যাওলা দেয়ালে চুমো দিয়ে সুগন্ধি ছড়ায় অর্কিড পরিবার।
সূর্য প্রাতঃকালে করে সম্ভাষণ।
আমাদের মন-মগজ, শুদ্ধ চৈতন্যভাব, বাল্মীকিরস, কাব্যিক সহযোগিতা, জনপদ সব দিয়ে একটা সংসার গড়েছি।
নৌকার মাঝি ঢেউ তুলে পাঁজর থেকে পাঁজরে ঘুরে, মানচিত্রে থাকেনা কোন মেরু, থাকেনা কর্কটক্রান্তিরেখা।
অথচ এখানেই ঘুরে ঘুরে আমরা জীবন পার করে দিয়েছি।
ঈদের ঘ্রাণ
সাঈদ চৌধুরী
ভদ্র পল্লীর চিন্তাহীন থাকার নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বেস্টনীতেও
কিছু কষ্ট বার বার প্রতিফলিত হয়
যদিও তা খুব বেশী প্রাচীর ভাঙ্গার ক্ষমতা রাখেনা
তবুও ক্ষত রেখে যায় অনন্তকাল
ঈদের চাঁদ যখন আকাশে দৃশ্যমান হয়
তখন ল্যাম্প পোস্টের আলোতে যারা অস্পষ্ট দেখে চাঁদের বাঁকা হাসি
তারাও আনন্দের ঘ্রাণ পায়
বেলকোণিতে দাঁড়ানো কোন আভিজাত্যপূর্ণ মানুষের মতই !
অভিজাত মানুষের গাড়ির পারফিউম আর বাতাসে যে গতিবেগ
তাতে পথ শিশুর নাকে ঘ্রাণ আসে
নতুন জামার, অভিজাত আতরের আর রং মহল থেকে
কিনে আনা ফিকে আনন্দের !
অজানা শৃক্সক্ষলে বেঁধে থাকা পথশিশুর মন
ঘ্রাণ নিতে চায় ঈদের চাঁদের নতুনের আনন্দেই
অথচ তারা অবহেলিত কথার আক্ষরিক প্রতিশব্দ !
মানুষের দীর্ঘশ্বাসে যে অগ্নি দহন থাকে
তা দিয়ে হয়ত প্রাচীর ভাঙ্গেনা
তবে নিশ্চিত করে বলা যায়
অন্যের ঘাড়ে পা রেখে আকাশ পানে উপরে ওঠা
মানুষগুলো শান্তি পায়না,
ঈদের ঘ্রাণ অভিনয়ে নিলেও তাতে সবুজ থাকেনা !