শব্দমিছিল
লাবন্য শাহিদা
প্রেমিকা
দিব্যি নিলুম ছুঁয়ে শিরা ধমনিকা
পরের জন্মে হব মনের মত প্রেমিকা
আজকে যখন বিষাদ ছুঁয়ে বলিস,
তুই বরঞ্চ বাচ্চামো টা ছাড়িস!
তখন চোখ টা ভাসাই স্রোতে
জানতে পারিস কি তা কোনো মতে?
নতুন মানুষ বোঝে কি ভালো?
ছিলাম যখন তোর আবেশে কালো
বৃষ্টি ছিল মফস্বলের রেলে
ছুট লাগাতাম সেই হুল্লোড় বেগে
অভিযোগের সাতটি প্রহর শেষে
পাহাড় ভাঙ্গে গর্জন আর মেঘেতে
আচ্ছা বলি,
এখনো কি রেগে করিস তাণ্ডব?
ধৈর্য নিতুম চোখটি বেয়ে
এমন কেন তুই অর্ণব!
আজো যখন মাথা ব্যথা ঝাঁপালে
কেউ এসে কি হাতটা রাখে কপালে
অট্টহাসি দিতুম সকাল দুপুর সাঁঝে
তুই বলতিস, থাম প্লিজ,এসব কি সাজে!
জানিস, আজ অনেকদিন কেটে গেছে
হাসি যেন আমায় ছেড়ে গেছে!
এখন আর দেখা হইনা মোদের
পাংশু মেঘ আর একশ বৃষ্টি আকাশ
তুই ছিলিস মোর বেঁচে থাকার প্রকাশ
কেন যেন ছেড়ে গেলি চলে
চোখটা ভাসে রাতটা ভরে এলে
একটু এসে দেখ
বাচ্চামি টা ছেড়ে গেছে
নতুন নতুন রেশ
এখন কাঁদি এক সমুদ্র চোখে
নতুন ভোরের আলোর মিছিল দেখে
সত্যি বলছি দেখিস
দিব্যি নিলুম ছুঁয়ে শিরা ধমনিকা
পরের জন্মে হব মনের মত প্রেমিকা
কৃতজ্ঞতা
আমায় ছেড়ে যাওয়ার মাঝে
ধন্যি হলাম যাদের পা এর কাছে,
আজ ভাবাচ্ছে এমন অবেলাতে
খুব যেদিন কেঁদেছিলাম স্রোতে
বুঝলি?
বুকটা ধুমড়ে মোচড়ে ঘাতে
ভেঙ্গেছিল যেমন
বড় অবেলাতে প্রশ্ন জেগেছিল
আমার সাথে হচ্ছে কেন এমন?
আজ বছর অনেক যেতেই
ভাবি এমন রোজই হয়
সব মানুষের সাথেই!
লিখতে বসে গড়িয়ে যাচ্ছে জলে
যে জিনিস টার মূল্য’ই নেই
আজন্ম কোনো কালে!
যাদের আশা নামক চোখে
স্বপ্ন একেঁছিলাম আবেগে
একদিন তারাই একলাটি
করে মোরে ছুড়ে দিল শেষে
জোকার সাজার রেসে!
এখন আমার বিস্তর জুড়ে
আকাশ খানা বাড়ি,
রাতটা বাজে
করুন সুরে ভায়োলিনের সারি!
এখন আমি একাই বাচঁতে পারি
আঁকতে পারি সুখ দুঃখ
আর ভুলে গেছি
আজন্মকাল ভালবাসার সাথী!
এড্রালিন
আজ যারা এত মিথ্যার দায়ভাগী
প্রত্তুত্তরে ঘৃণা সম কামানদাগী,
কবে আমাদের বাহুর প্রবলে
কোটি মানুষের দুর্বার চাপে
শৃঙ্খল গত হবে
কবে প্রাণ কোলাহলে
কোটি শ্লোগানের জোয়ারের জলে
ভেসে যাবে কারাগারে!