শব্দমিছিল
শোয়াইব শাহরিয়ার
পাখি
পাহাড় আমার খুব কাছেই। সাগরের সাথে সঙ্গমের অপেক্ষায় পাহাড়। মাঝখানে আমরা ক’জন প্রেমিকসেনা দুলতে থাকি, ঘুরতে থাকি। আমরা সাগরের সাথে প্রথম সঙ্গমে লিপ্ত হই, তারপর পাহাড়ের সাথে সঙ্গমের জন্য দৌড়ে যাই। আমরা দৌড়াচ্ছি, পাহাড় ততক্ষণে পাখি হয়ে গেল। পাখির পেছনে দৌড়াতে দৌড়াতে আর কোনো প্রেমই রক্ষিত নেই। বুঝলাম- মৌনতার পেছনের যৌবন ঢেলে লাভ নাই।
ভাগ্য
নদীকে ভালোবাসি। নদী আমায়। আমাদের মাঝে রাঘববোয়ালের অভাব নেই। আমরা একে-অপরকে গভীরভাবে জড়িয়ে ধরি। আমার মনে হলো- কোথায় যেন তলিয়ে গিয়েছিলাম। বাড়ি ফিরতেই দেখি সবাই কাঁদছে। এদিক-ওদিক ছুটোছুটি করছে। মা বিলাপ করছে, ‘আল্লাহগো, এ কী করলা! শেষ পর্যন্ত নদীর পেটের ভিতর পোলাডারে... ‘মায়ের ডান দিকে কী একটা দেখা যাচ্ছে। সাদা কাপড়ে মোড়ানো। সন্তান হারার শোক। মা অনর্গল কাঁদছে। কিছুক্ষণ পর জানাজা হলো। আমার ভাগ্য আমাকে কাঁধে নিয়ে কবরের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
সন্দেহ
ঘন মেঘের আড়াল হতে প্রস্ফুটিত গোলাপের মতো বেরিয়ে এলে, প্রজাপতি মন আমার উড়ে যায় তোমার ভেতর। বৃষ্টিস্নাত পথে যখন বাড়াও পা, তখন তুমি ঢুকে যাও আমার ভেতর সম্পূর্ণ, একা। তোমার স্পর্শে আমার ভেতর জন্মেছে নদী। সেখানে সাঁতার কাটো তুমি। আমার চোখ দু’টো তোমার। যোগ করে, করেছ চারটি। আমার হৃদয়টি তোমার। যোগ করে, করেছ দু’টি। যোগ-যোগ খেলায় আমরা এখন সমুদ্র। পাশাপাশি খেলা করে সুখী ঢেউ। ঢেউগুলো নির্মল-বড়। সেই ঢেউয়ের আঘাতে, আমাদের পৃথিবীটা সুন্দর হয়ে যায়।